স্ত্রীর দেয়া গরম পানিতে ঝলসে গেল ব্যাংক কর্মকর্তার সমস্ত শরীর | BD Newspaper Today
স্ত্রীর দেয়া গরম পানিতে ঝলসে গেল ব্যাংক কর্মকর্তার সমস্ত শরীর
তৃতীয় বার বিয়ে করা নিয়ে তার প্রথম স্ত্রী রেগে গিয়ে তার স্বামীর শরীরে গরম পানি ছোড়ে মারলো। এবং এ থেকে ব্যাংক কর্মকর্তা স্বামীর শরীর ঝলসে গেছে বলে অভিযোগ উঠ আসে। এবং এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্ত্রীকে গতকাল বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

ব্যাংক কর্মকর্তা স্ত্রীর নাম নাসিমা আক্তার (৩৫)। আর দগ্ধ ওই ব্যাংক কর্মকর্তা হলেন সুলতান মাহমুদ (৩৩)। এবং কারাগারে পাঠানো হয় সেই নারীকে তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। টাঙ্গাইলের মধুপুরের মৃত আবদুস সামাদের ছেলে সুলতান। নেত্রকোনার মদন উপজেলার সোনালী ব্যাংক শাখায় কর্মকর্তা (ক্যাশ) হিসেবে কর্মরত কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
সেখানে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা যায়। সুলতান মাহমুদ কয়েক বছর ধরে মদন সোনালী ব্যাংক শাখায় কর্মরত ছিলেন। বেশ কয়েক বছর আগে তিনি নাসিমা আক্তার নামের এক নারীকে তিন সন্তানসহ বিয়ে করেন। নাসিমার বাড়ি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায়। এরপর তিনি তাঁকে ও সন্তানদের নিয়ে মদন পৌরসভার বাড়িভাদেরা এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকা শুরু করেন। এবং সেখানে প্রায় এক বছর আগে সুলতান মাহমুদ নিজ এলাকায় দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এ নিয়ে গত কয়েক বছর ধেরে নাসিমার সঙ্গে পারিবারিক বিরোধ চলছে। এবং গত শুক্রবার তিনি ময়মনসিংহে তৃতীয় বিয়ে করেন। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে গত বুধবার রাত ১১টার দিকে ঝগড়ার একপর্যায়ে প্রথম স্ত্রী নাসিমা তাঁর স্বামীর গায়ে গরম পানি ছুড়ে মারে এবং গরম পানি ছুড়ে মারার কারণে শরীরের অনেক জায়গায় ঝড়সে যায়।
এবং পরে স্থানীয় লোকজন মদন থানায় খবর দিলে সুলতান মাহমুদকে পুলিশ উদ্ধার করে মদন হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় এক পর্যায়ে তাঁর প্রথম স্ত্রীকে আটক করা হয়। আর সুলতানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়। এবং তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই রাতেই সুলতানকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে আজ ভোরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মদন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফখরুল হাসান চৌধুরী বলেছে। প্রচণ্ড গরম পানিতে ব্যাংক কর্মকর্তার শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ ঝলসে গেছে।
এবং মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রমিজুল হক বলেছেন। ব্যাংক কর্মকর্তা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলে বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন। তাঁর প্রথম স্ত্রী নাসিমাকে আটক করে আজ বিকেলে আদালতের মাধ্যমে নেত্রকোনা কারাগারে পাঠানো হয়ে থাকবে।
Leave a reply